বাংলার ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে একটি ফ্ল্যাট উপহারের বিষয়ে মিথ্যা বলেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে তার নাম জড়ানোর পর থেকে তাকে পদত্যাগের দাবির মুখে পড়তে হয়েছে।
ডেইলি মেইল এবং ফিনান্সিয়াল টাইমসের অনুসন্ধানে জানা যায়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় দুই-শয্যার একটি ফ্ল্যাট ২০০৪ সালে টিউলিপ সিদ্দিক একক মালিকানায় পেয়েছিলেন। সে সময় তিনি দাবি করেছিলেন, এটি তার বাবা-মা তাদের পারিবারিক বাড়ি বিক্রির অর্থ থেকে কিনে দিয়েছেন। তবে নতুন তথ্য অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশি এক প্রভাবশালী আবাসন ব্যবসায়ী উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।
ফ্ল্যাটের আগের মালিক আবদুল মোতালিফ জানান, তিনি এটি “কৃতজ্ঞতার প্রতীক” হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দেন। ভূমি রেজিস্ট্রির নথি থেকে জানা যায়, ফ্ল্যাটটি হস্তান্তরিত হলেও এর জন্য কোনো মূল্য পরিশোধ করা হয়নি এবং কোনো বন্ধকও ছিল না।
কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা এই অভিযোগের পরপরই টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা বলেন, একজন দুর্নীতি দমন মন্ত্রীর এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি রাশিয়া-সমর্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয়ে টিউলিপকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
ফ্ল্যাট বিতর্ক এবং দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ফ্ল্যাটের মালিকানা পাওয়ার বিষয়ে তার পূর্ব ধারণা ভুল ছিল এবং এটি পরে সংশোধন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব ফেলেছে। এ নিয়ে লেবার পার্টি এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে তীব্র আলোচনা চলছে।
Leave a Reply