ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজের দল লিবারেল পার্টির ভেতরে তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানী অটোয়ায় নিজ বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান।
ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্যা গ্লোব অ্যান্ড মেইল তিনটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল, তিনি শিগগিরই লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে সরে দাঁড়াবেন।
২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার সময় দলটি গভীর সংকটে ছিল এবং হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেলরা ২০১৫ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।
রয়টার্স বলছে, এই পদত্যাগের ফলে কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। জরিপগুলো ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে রক্ষণশীল দলের কাছে বড় পরাজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রুডো সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি। তবে আমি বিশ্বাস করি, দল ও দেশের স্বার্থে এই পরিবর্তন প্রয়োজন।”
পদত্যাগের কারণে লিবারেল পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজে বের করার কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে। বর্তমানে দলের অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বে কে আসবেন এবং পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত দল কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
জাস্টিন ট্রুডোর এই সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply