ওয়াহেদ ফকির, বগুড়া: বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় এসেনসিয়াল ড্রাগসের চাকুরিচ্যুত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের চাকুরী পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাকুরিচ্যুত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সংগ্রাম পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন চাকুরিচ্যুত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সুজাউদ্দৌলা। তিনি জানান, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বেআইনিভাবে এবং বিনা নোটিশে এসেনসিয়াল ড্রাগসের বগুড়া প্লান্ট থেকে ৩৪২ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, কোনো শ্রম আইন বা চাকুরী বিধিমালা লঙ্ঘনের প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও তাদের চাকুরীচ্যুত করা হয়।
সুজাউদ্দৌলা জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর অন্যান্য অঞ্চলের চাকুরিচ্যুত শ্রমিক ও কর্মচারীদের পুনর্বহাল করা হলেও বগুড়া অঞ্চলের চাকুরিচ্যুতদের উপেক্ষা করা হয়। এর কারণ হিসেবে তিনি দাবি করেন, চাকুরিচ্যুতদের সিংহভাগই বগুড়া অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ায় তারা বৈষম্যের শিকার হন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুতদের পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। তবে, এসেনসিয়াল ড্রাগস বগুড়া প্লান্টের চাকুরিচ্যুত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা এখনও চাকুরীতে পুনর্বহালের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাননি।
চাকুরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চাকুরী হারিয়ে তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনাহার ও অর্থকষ্টে দিন পার করছেন তারা। একই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ঘুষ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
সুজাউদ্দৌলা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক পক্ষপাত ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য দূর করে চাকুরিচ্যুত সকল শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের দ্রুত চাকুরীতে পুনর্বহাল করার জন্য। তাদের পরিবারগুলোকে বাঁচাতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply