ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে। এই তথ্য নিজেই জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও বৈঠকের সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। অনলাইন বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন বৈঠক করতে চেয়েছেন এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান।” ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের অনুরোধ এখনো ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে দুই পক্ষের আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।
এরই মধ্যে, ট্রাম্প সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত করেছেন। কেলগ এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণে ইউক্রেন সম্মত হলে তবেই কিয়েভকে সহায়তা করা উচিত। তবে মস্কো আলোচনায় না আসলে সরাসরি সহায়তার পরামর্শ দেন তিনি।
ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাকে অভিনন্দন জানান এবং যুদ্ধ দ্রুত সমাপ্ত হবে বলে বিশ্বাস প্রকাশ করেন। ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করে যুদ্ধের ইতি টানবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক এবং নতুন কৌশলগত পদক্ষেপ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তৈরি করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে দুই দেশের সমঝোতার ভিত্তি কতটা কার্যকর হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
Leave a Reply