ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত ছিল না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। ভারতের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুলিভান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে সুলিভান মন্তব্য করেছেন।
জেক সুলিভান বাংলাদেশের সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকার অভিযোগকে ‘অবাস্তব’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমি বিনয়ের সঙ্গে এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করতে চাই যে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর পেছনে আমেরিকার হাত ছিল। বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন।”
সুলিভান আরও জানান, সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরকালে ভারতের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মধ্যেও এই বিষয়ে কোনো সংশয় নেই। এর আগে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে সুলিভান বাংলাদেশে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যাত্রায় পাশে থাকবে।”
ডিসেম্বরের শেষ দিকে সুলিভান ও ড. ইউনূসের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়। সুলিভান বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার বিষয়ে জোর দেন এবং ধর্মনির্বিশেষে মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে বাংলাদেশের নতুন সংস্কার কর্মসূচিতে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের মধ্যে জোরালো বন্ধনের ভিত্তিতে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নতুন সংস্কার কর্মসূচি সফল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
Leave a Reply