ওয়াহেদ ফকির, বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাইওয়ে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, আরএমপিতে কর্মরত ডিবি পুলিশের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে পরিচালিত এ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ দু্টই লক্ষ টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাফ। হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে লোকজনকে ভয় দেখিয়ে বেশকিছুদিন যাবত চাঁদাবাজী করে আসছিল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা বগুড়া জেলার ধুনট থানার দিগলকান্দি এলাকার দুই যুবক রাব্বি (১৯) ও জাহাঙ্গীর (২৪)-কে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে। পরে তারা ওই যুবকদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের মুক্তি দেয়। পরে রাব্বি ও জাহাঙ্গীরের পরিবার নন্দীগ্রাম থানার কুন্দারহাট এলাকায় দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। এরপরই কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ এর টহল দলের ইনচার্জ সার্জেন্ট মো: মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্স ও অন্যান্য অফিসারের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে।
গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মোহাম্মদ মাহবুর আলম, কনস্টেবল মোহাম্মদ বাশির আলী এবং সিভিল ড্রাইভার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। তাদের কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা, একটি ওয়াকিটকি, একটি হ্যান্ডকাফ এবং সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে, এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম এবং তার সহকর্মীরা সম্প্রতি অন্যায়ভাবে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন এবং তাদের এই কর্মকাণ্ডের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। এছাড়াও, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের একজনের বাড়ি ধুনট থানায়। তার মাধ্যমে ডিবির অন্য সদস্যরা ধুনটে একটি অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর বিষয়ে জানতে পারেন। পরে তারা ক্যাসিনো ব্যবসায়ী রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা গত রোববার রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। পরে ডিবির ঐ দলটি তাদের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়।
এ ঘটনায় বগুড়া জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
Leave a Reply