বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় গত ২০২৩ সালে মাদ্রাসা কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহননকারী ছাত্রীর মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার দাবী করেছেন নিহতের পরিবার। মেডিকেল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার দাবী করে সম্প্রতি বগুড়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের পিতা মো. সিদ্দিক প্রামাণিক। তবে পুলিশ বলছে, মেডিকেল প্রতিবেদন এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনকে বগুড়া সদর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
জানা গেছে, বগুড়া শহরের গোদারপাড়া তা’লীমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসায় মেয়েকে ভর্তি করান দুপচাঁচিয়া উপজেলার পাথাট্টি গ্রামের সিদ্দিক প্রামাণিক। দীর্ঘ চার বছর অধ্যয়নরত থাকার পর গত ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শিফা (১৪) নামের ঐ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় মাদ্রাসার স্টোর রুম থেকে। সে সময় পরিবারকে জানানো হয় স্টোর রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শিপা নিজেই আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি শিপার বাবা সিদ্দিক মিয়া পুলিশের বরাত দিয়ে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে তার মেয়ের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার দাবী করেন। গত ১৮ মার্চ বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা ৫৮/২০২৫ নং মামলার অভিযোগে তিনি এই দাবী করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফিরোজ জানান, নিহতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এখনো থানা পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেনি। তিনি জানান, পুলিশের বরাত দিয়ে নিহতের পিতা সিদ্দিক প্রামাণিক ময়না তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার যে দাবী করেছেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি জানান, বাদীর অভিযোগ দাখিলের পর মাদ্রাসার তৎকালীন পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে ডেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে মাদ্রাসা ছাত্রী শিপার মৃত্যুর পর রহস্যজনকভাবে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়।
Leave a Reply