বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আত্মসাৎকৃত ৩৯৮ বস্তা আটাসহ একটি ট্রাক উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৬ মার্চ বুধবার প্রতারণামূলকভাবে ট্রাক ড্রাইভার ও তার সহকারী আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে আটাভর্তি ট্রাকটি বগুড়া শেরপুর থেকে গোপনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিয়ে চলে যায়। পরে আটার মালিক শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটাভর্তি ট্রাকটি বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিানইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ট্রাক চালক মোঃ বেলাল হোসেন (৪০) ও তার সহকারী মোঃ মোস্তফা (৩৮) কে আটক করা হয়।
জানা যায়, গত ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার শেরপুর উপজেলার দড়িমুকন্দ বাজার থেকে ৩৯৮ বস্তা আটা ক্রয় করেন উপজেলার সাপ্লাই ব্যবসায়ী মো. কাওছার আহম্মেদ (৩০)। পরে তা ট্রাকযোগে নন্দীগ্রাম কোয়ালিটি ফিড মিলে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে একটি ট্রাক ভাড়া করেন। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৮৭০১। ট্রাকে আটা লোড করে চালক বেলাল হোসেন ও তার সহকারী মোস্তফা ট্রাক নিয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
কিন্তু বেশ কিছু সময় পার হলেও ট্রাকটি গন্তব্যে না পৌঁছায় আটার মালিক ব্যবসায়ী কাওসার আহম্মেদের সন্দেহ হয়। তিনি চালকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে চালাক জানায় মালমাল নন্দীগ্রাম কোয়ালিটি ফিডে আনলোড হয়েছে। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৮৭০১ নম্বরের ট্রাক থেকে কোনো মালামাল আনলোড হয়নি মর্মে জানায়।
পরে আটার মালিক কাওছার আহম্মেদ আবারো চালককে ফোন করলে চালক বারবার ফোন কেটে দেয়। এ ঘটনায় মালামালসহ ট্রাকটি উদ্ধার করতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটাভর্তি ট্রাকটি পরদিন বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ট্রাক চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “আমাদের তৎপর তদন্ত ও অভিযানের ফলে আমরা চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply