সেলিম সরকার, বগুড়া:
বগুড়া শহরের ব্যস্ততম সড়ক ফুলতলা বাজার থেকে পেপসি কোম্পানি পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মিটার পাকা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন আগে সড়কটি নির্মিত হলেও সড়কের উপরে পিচঢালা আস্তর উঠে গিয়ে এমন দশা হয়েছে যে, চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই সড়কটি এক সময় পাকা ছিল। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখানে হাঁটু পানি জমে থাকে। বর্ষাকালে প্রায় চার মাস সড়কটিতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
ফুলতলার এই সড়কটি বগুড়া পৌরসভার অন্তর্গত হলেও বর্তমানে এটি বগুড়া সদর উপজেলার অন্তর্গত নয়। এক সময় এই এলাকা বগুড়া সদর উপজেলার আওতাভুক্ত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে বগুড়া সদর ও গাবতলী উপজেলা ভেঙ্গে শাজাহানপুর নামে আরেকটি উপজেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফুলতলা এলাকাটি তখন চলে যায় শাজাহানপুর উপজেলার মধ্যে। কিন্তু পৌরসভার বাসিন্দা হিসেবে এই এলাকার মানুষ সদর উপজেলাধীন বগুড়া পৌরসভার বাসিন্দা হিসেবেই বসবাস করেন। সেই থেকে দ্বৈত পরিচয়ধারী হওয়ায় বগুড়া পৌরসভা আর শাজাহানপুর উপজেলা প্রশাসনের ঠেলাঠেলিতে এলাকাটি উন্নয়ন থেকে একেবারেই বঞ্চিত বলা যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত ফুলতলা আদর্শপাড়া ও এর আশপাশের এলাকা সব ধরনের উন্নয়ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নেই কোনো ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নেই কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। তারা জানান, সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় অসংখ্য সেনা পরিবার, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংকার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বসবাস করেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আগের দিন রাতে সামান্য এক পশলা বৃষ্টিতেই কাদায় ভরে গেছে সড়ক। ফুলতলা মাদ্রাসা থেকে পেপসি কোম্পানি পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মিটার সড়কের পুরোটাই খানাখন্দে ভরে গেছে। অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ পথচারীরা খুব কষ্টে সড়কে চলাচল করছেন।
এ বিষয়ে জানতে শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুহ. ফারুক হাসানের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একাধিকবার আবেদন করেও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী বর্ষার আগেই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply