ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ পালনকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে সেদেশের সরকারের দেয়া শাস্তি মওকুফের বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন। মতবিনিময়ের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বেশ কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। তার মধ্যে আরব আমিরাতে বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়, এমনকি জেলও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে দেখছি। তারা কিছুতেই যেন ভোগান্তিতে না পড়েন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি আজ বা কালকের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা নিজে কথা বলবেন তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। যাতে তারা সহায়তা পেতে পারে। অন্তত কোনো শাস্তি ছাড়া যেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর বাকিটুকু না হয় আমরা সহায়তা করার চেষ্টা করলাম। তিনি (ড. ইউনূস) নিজেই উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন, চেষ্টা করবেন তাদের যেন শাস্তির সম্মুখীন হতে না হয়।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা হয়তো স্থানীয় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। সে কারণে আমরা সেই দেশকে দোষারোপ করতে পারি না। তাদের যে আইন আছে সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু তাদের (প্রবাসী) সেন্টিমেন্ট যেটার কারণে তারা এটার পক্ষে এসেছে তখন তারা হয়তো সেই আইন-কানুনও ভুলে গেছে অনেকে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের যেন মুক্ত করতে পারি।
এ সময় প্রবাসীদের জন্য সেবার মানোন্নয়নে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিতের বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখা হবে।
গত ১৯ জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ দাঙ্গা উসকে দেয়ার অভিযোগে এসময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন সাজা দেন দেশটির আদালত।
এছাড়াও অবৈধভাবে সেদেশে প্রবেশ এবং ‘সমাবেশে’ অংশ নেয়ায় আদালত আরো ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। আদালত তাদের কারাবাসের মেয়াদ শেষে নির্বাসন এবং জব্দ করা সমস্ত ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।
Leave a Reply