নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কমতে শুরু করেছে বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। অভিযানের ভয়ে মজুদদারদের অনেকেই পণ্য মজুদ না করে বরং বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ভারতের উপর নির্ভর না করে পাকিস্তান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি শুরু করায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, চিনিসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। খুব শিগগিরই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিনে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম ছিল নিম্নমুখী। গতকাল মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা কমে ১২২-১২৩ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। মুগডালের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫-৭ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মুগডাল ১৩২-১৬০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। অন্যদিকে মটর ডালের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা কমে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তান, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। ফলে সরবরাহ বেশি থাকায় মসলাপণ্যটির দামও নিম্নমুখী। মসলা আড়তগুলোর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশী ও ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯০-৯৫ টাকা। বর্তমানে তা ৮৮-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল ভারত ও দেশী পেঁয়াজ ছাড়া বিকল্প দেশগুলো থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬০-৭৫ টাকা।
পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ফার্মগুলোর দেয়া তথ্যে জানা গেছে, আগের সপ্তাহগুলোয় পাইকারিতে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চিনির দাম ছিল ৬ হাজার ৩০০ টাকা। বর্তমানে দাম কমে ৬ হাজার টাকার নিচে বেচাকেনা হচ্ছে।
পাম অয়েলের দাম কমে বর্তমানে বেচাকেনা হচ্ছে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ৪ হাজার ৮৫০ থেকে ৪ হাজার ৯০০ টাকায়। গতকাল সয়াবিনের দাম ছিল মণপ্রতি ৫ হাজার ৮০০ টাকা। মানভেদে গমের দাম কমে মণপ্রতি ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হয়েছে।
Leave a Reply