বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের বথুয়াবাড়ী তিন ভাই ফিলিং স্টেশন মালিকের বিরুদ্ধে তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয়দের নিকট থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেন ফিলিং স্টেশনের মালিক তিন ভাই উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া গ্রামের তাছের আলীর পুত্র যথাক্রমে আব্দুস সোবাহান আলী, সৈয়ব আলী ও মো. সুমন মিয়া।
বিনিয়োগের টাকা ফেরত না দিয়ে ফিলিং স্টেশনটি গোপনে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে এমন খবর চাউর হলে গত দু’দিন থেকে বিনিয়োগকারীরা সদলবলে পাম্পের সামনে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফিলিং স্টেশনটি দখলে নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা এই কর্মসূচি থেকে দ্রæত টাকা পরিশোধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
শেরপুর বারোদুয়ারীপাড়ার মোজাম্মেল হক বলেন, ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে তিন ভাই ফিলিং স্টেশনের মালিক তার নিকট থেকে চল্লিশ লাখ টাকা নেন। কিন্তু লভ্যাংশ দেওয়া তো দূরের কথা, এখন আসল টাকাই দিচ্ছেন না। পাওনা টাকা চাইলেই নানা তালবাহানা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি জমিসহ ফিলিং স্টেশনটি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বগুড়ার বেসরকারি এনজিও টিএমএসএস-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তবে সেটি সফল হয়নি। বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার ঘটনাটি তাদের জানানোর পর এনজিও সংস্থাটি চুক্তি বাতিল করেছেন।
শহরের উপশহরের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম মিঠু অভিযোগ করে বলেন, তিনি বাহান্ন লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু টাকা চাইলেই মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছেন ফিলিং স্টেশনের মালিক সোবহান আলী ও তাদের লোকজন।
একইভাবে শহরের খন্দকারপাড়ার বুলবুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের নিকট থেকে এক চল্লিশ লাখ টাকা, হামছায়াপুর গ্রামের রওশন আলীর নিকট থেকে সাতাশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা, টাউন কলোনীর আবুল কালাম আজাদের নিকট থেকে বারো লাখ টাকা, শালফা গ্রামের আব্দুর রহিমের নিকট থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও বথুয়াবাড়ী গ্রামের ভুলু মিয়ার নিকট থেকে নয় লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানান বিনিয়োগকারীরা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিন ভাই ফিলিং স্টেশনের মালিক সোবাহান আলী কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, টাকা ফেরত পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে মামলা হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply